December 23, 2024, 7:43 pm

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে:উত্তরা পূর্ব থানা কর্মিসভায় আমিনুল হক পারিবারিক কলহের জেরে আপন ভাই কর্তৃক জলিল হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাগর (২০) কে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ ও র‍্যাব-৭ লাখো মুসল্লির অশ্রু সজল নয়নে আমিন-আমিন ধ্বনীতে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিন দিনের ইজতেমা কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী জামিনী কান্ত, গ্রেফতার  ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে ICAO CAA Approval of Training Organizations (ATO) Course এর সমাপনী অনুষ্ঠিত খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত ঢাকায় ১৯ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে দাওয়াতে ইসলামীর ইজতিমা উত্তরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত দক্ষিনখানে রাজউকের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ করছে মধ্য আজিমপুরের ইসলাম বোখারী রোডে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ

বাবরি মসজিদের জায়গায় হবে রামমন্দির: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

সারাদেশ ডেস্ক ॥

বাবরি মসজিদের জায়গা শর্তসাপেক্ষে হিন্দুদের বলে রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। সেই ট্রাস্টের অধীনেই থাকবে বিতর্কিত জমি এবং ট্রাস্ট্রের অধীনেই রামমন্দির নির্মিত হবে। এছাড়া মুসলিমদের জন্য বিকল্প জমি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।

অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার শুরুতে শিয়া ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখড়ার আর্জি খারিজ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে দশটায় রায় পড়া শুরু করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

রায়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট সেগুলি নন ইসলামিক। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় যুক্তিযুক্ত ছিল।

তিনি বলেন, ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি বাবরি মসজিদ, মসজিদের নিচে কাঠামো ছিল। বাবরের সহযোগী মির বাকি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। তবে কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

রায়ে বলা হয়, বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জায়গাটি কখনো মুসলিমদের বেদখল হয়নি। তবে তারা এটিকে স্থায়ী স্বত্ব হিসেবে দাবি করতে পারে না এবং এটি মুসলিমদের স্থায়ী সম্পদ সেবিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই।

কট্টরপন্থী হিন্দুরা দাবি করেন বাবরি মসজিদের জায়গাতেই ভগবান রামের জন্ম হয়েছিল এবং একটি রামমন্দির ভেঙ্গে মোগল আমলে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার পর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় দুই হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।

রায়ের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, যে ৩৮টি জেলা এমনিতেই সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল, সেখানে বাড়তি বাহিনী নামানো হয়েছে। টহল চলছে দিন রাত। রাস্তার মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যারা উত্তেজনা ছড়াতে পারে, এমন লোকদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

কড়া নজর রাখা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমেও যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে। লখনউ আর জেলা সদরগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর বলছে, দুটি হেলিকপ্টার তৈরি রাখা হচ্ছে, যার মধ্যে একটি থাকবে অযোধ্যায়। অযোধ্যার নিরাপত্তাও কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে।

রায় উপলক্ষে মাসখানেক ধরেই অযোধ্যা শহরে ১৪৪ জারি রয়েছে। তবে শহরের সাধারণ হিন্দু আর মুসলমান, দুই সম্প্রদায়ের মানুষই যে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

বাবরি মসজিদ আর রাম জন্মভূমি নিয়ে বিতর্ক কয়েক শতাব্দী ধরে। এ নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বারবার দাঙ্গা হয়েছে।

ব্রিটিশ সরকার ভেতরের অংশটা মুসলিমদের আর বাইরে চত্ত্বরটা হিন্দুদের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে কে বা কারা রামের মূর্তি রেখে দেয়। মুসলিমরা তখনই প্রতিবাদ করেন এবং সরকার জমিটিকে বিতর্কিত ঘোষণা করে তালা বন্ধ করে দেয়।

জমির মালিকানা কার সেটা ঠিক করতে সেবছরই আদালতে প্রথম মামলা হয়। এরপরে ফৈজাবাদের জেলা আদালত ১৯৮৬ সালে তালা খুলে হিন্দুদের পূজোর অনুমতি দেন। আর তখন থেকেই রামজন্মভূমি আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে। অন্যদিকে মামলাও চলতে থাকে।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে বিতর্কিত জমিটি তিনভাগ হবে- দুভাগ পাবেন হিন্দুরা আর এক ভাগ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। তার বিরুদ্ধে সবপক্ষই সুপ্রিম কোর্টে যায় ২০১১ সালে। সুপ্রিম কোর্ট আদালতের বাইরে সব পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হওয়ায় মামলাটি বিশেষ বেঞ্চ শুনানি করে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন